শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

শীতের সকাল রচনাপ্রিয় পাঠক, আপনি কি শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কেননা আজকের পাঠে আমরা ফুলকপি চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে ফুলকপির জাতের নাম, আগাম ফুলকপির জাত, ফুলকপি কোন মাটিতে ভালো হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

ভূমিকা

শীতকালীন সবজি হিসেবে আমাদের সকলের জনপ্রিয় খাবার হল ফুলকপি। এই ফুলকপি আমরা তরকারি বা সুপ অথবা বড়া হিসেবে রান্না করে খাই। ফুলকপি শীতের সবজি হলেও এখন অনেক জায়গাতে গ্রীষ্মকালেও চাষ করা হচ্ছে এই ফুলকপি।

এই ফুলকপি চাষের জন্য সমপরিমাণ বালি, মাটি এবং জৈবসার মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করে চাষ করা হয়। ফুলকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ উপাদান। এছাড়াও ফুলকপিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও খনিজ উপাদান রয়েছে।

এ ছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম খাওয়ার উপযোগি ফুলকপিতে রয়েছে পানি ৯০.৮ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, শ্বেতসার ৪.০ গ্রাম, খনিজ লবণ ১.৯ গ্রাম। তাহলে চলুন এবার আমরা এতো উপাদানে ভরপুর ফুল কপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।

ফুলকপির জাতের নাম

ফুলকপি চাষের সময় আমরা বিভিন্ন দিধা দন্দে থাকি। যে কোন জাতের ফুলকপি আমরা চাষ করবো। কোন ধরণের ফুলকপি আমাদের জন্য চাষ করা উচিত। কোন জাতের ফুলকপি চাষ করলে আমরা সবথেকে লাভবান হতে পারবো।

এই সকল আরো নানান ধরণের প্রশ্নের উদোয় হয় আমাদের মনে ফুলকপি চাষ করার পূর্বে। শীতকালীন সবজি চাষ হিসেবে চলুন কিছু ফুলকপির জাতের নাম জেনে নেওয়া যাক। যেগুলো আপনি পড়লে ভালোভাবে বুজতে পারবেন।

নিম্নের কিছু ফুলকপির জাতের নাম দেওয়া হলো যেগুলো জানলে আপনি নিজে থেকেই নির্বাচন করতে পারবেন কোন ফুলকপির জাত টা আপনার জন্য চাষ করা উচিত হবে। আর কতদিনের মধ্যে আপনি আপনার চাষকৃত ফুলকপির ফলন তুলে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
চলুন তাহলে এবার ফুলকপির জাতের নাম জেনে নেওয়া যাক। ফুলকপি চাষের জন্য সাধারণত ৩ ধরণের জাত চাষ করা হয়। সেগুলো হলোঃ বারি ফুলকপি-১, এর জনপ্রিয় নাম হলো রুপা। বারি ফুলকপি-২ এবং স্নো হোয়াইট নামক এক জাতের ফুলকপি।

বারি ফুলকপি-১ এর বৈশিষ্ট্যঃ

  • বারি ফুলকপি-১ এর জনপ্রিয় নাম রুপা
  • রবি মৌসুমে উৎপাদন করা হয়।
  • এর গড় জীবনকাল প্রায় ১০০ দিন
  • এই ফুলকপির ওজন ৮৫০ - ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়
  • এই ফুলকপি চারিদিকে কিছুটা পরিমাণ পাতা দ্বারা ঢাকা থাকে এবং এটি প্রায় সারাদেশেই অনেক চাষ উপযোগি জাত
  • প্রতি শতকে ফলন প্রায় ১০০ - ১১২ কেজি পর্যন্ত হয়
  • আর হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ২৫ - ২৮ টন র্যন্ত হয়ে থাকে।
  • প্রতি শতক বীজতলার জন্য বীজের প্রয়োজন হয় ২ - ৩ গ্রাম।
  • মাঝারি উচু জমিতে চাষের জন্য উপযোগি
  • দোআঁশ অথবা এটেল-দোআঁশ মাটিতে চাষ করা হয়।
  • বারি ফুলকপি-১ এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ভাদ্র-আশ্বিন ( মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর)
  • জমিতে চারা রোপণ করা যায় মধ্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসেই।
  • এর ফলন পাওয়া যায় চারা রোপনের ৬০ - ৭৫ দিন পরে।
তথ্য সূত্রঃ কৃষি তথ্য ভান্ডার

বারি ফুলকপি - ২ জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

  • বারি ফুলকপি - ২ এর কোন জনপ্রিয় জাতের নাম নেই।
  • রবি মৌসুমে উৎপাদন করা হয়।
  • এর গড় জীবনকাল প্রায় ৬৫ দিন
  • এই ফুলকপির ওজন ৭৫০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়
  • এটি প্রায় সারাদেশেই অনেক চাষ উপযোগি জাত
  • প্রতি শতকে ফলন প্রায় ১০০ - ১১২ কেজি পর্যন্ত হয়
  • আর হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ২৫ - ২৮ টন র্যন্ত হয়ে থাকে।
  • প্রতি শতক বীজতলার জন্য বীজের প্রয়োজন হয় ২ - ৩ গ্রাম।
  • মাঝারি উচু জমিতে চাষের জন্য উপযোগি
  • দোআঁশ অথবা এটেল-দোআঁশ মাটিতে চাষ করা হয়।
  • বারি ফুলকপি-২ এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ভাদ্র-আশ্বিন
  • এর ফলন পাওয়া যায় চারা রোপনের ৬০ - ৭৫ দিন পরে।
তথ্য সূত্রঃ কৃষি তথ্য ভান্ডার

স্নো হোয়াইত জাতের বৈশিষ্ট্যঃ
এই ফুলকপির জাতের বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকম। এই ফুলকপির জীবনকাল ৪০ - ৪৫ দিন হয়ে থাকে। এবং এর উৎপাদন একর প্রতি ৬ - ৮ টন হয়।

আগাম ফুলকপির জাতসমূহ

শীতকালীন সবজি চাষ করার সময়ে ফুলকপি সহ সকল সবজি চাষের আমরা সকলেই চিন্তা ভাবনা করে থাকি যে কিভাবে সেই সবজির আগাম ফলন পাওয়া যায়।

আর আগাম ফলন পেলে বাজারে অনেক ভালো চাহিদা থাকে এবং অনেক ভালো দাম ও পাওয়া যায়। যেইটা আমাদের সকল কৃষকদের জন্য অনেক লাভোবান হয়। এর জন্য আমরা কিছু আগাম জাতের চাষের কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকি।
আগাম ফুলকপির জাতসমূহ
আগাম ফুলকপির জাত চাষের চিন্তা ভাবনা করে থাকলে আপনি নিচের কিছু জাতের কথা উল্লেখ করা হলো সেগুলো চাষ করতে পারেন। এই সকল জান আপনি বাজারের যেকোন দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন কিছু আগাম ফুলকপির জাতের নাম জেনে নেওয়া যাক।
  • কার্তিকা
  • অগ্রহায়ণী
  • বারি ফুলকপি-২
  • আগাম স্নোবল
  • পাটনাই
  • ট্রপিক্যাল
  • বসন্ত
  • ব্র্যাক-৮০
  • লালতীরের তাব্বি এফ - ১
  • সুপার স্নোবল
  • হোয়াইট বিউটি
  • কেএস ৬০
  • ক্যামেলিয়া
  • হিট মাস্টার
  • স্পেশাল ৪৫ এফ১
  • স্নো কুইন এফ১
ইত্যাদি। এই সকল ফলকপির জাত অনেক আগাম ফলন দেয়। এবং এই সকল আগাম ফুলকপির জাতের বীজ শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে বপন করতে হয়। এই সকল আগাম ফুলকপির জাতের বীজ রোপনের মাধ্যমে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।

ফুলকপি কোন মাটিতে ভালো হয়

ফুলকপি চাষের জন্য এর মাটির নির্বাচন করা অনেক জরুরি। কারণ একটি সবজি শতভাগ উচ্চ ফলনের জন্য মাটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি একজন ফুলকপি চাষের জন্য উদোক্তা হয়ে থাকেন থাকেন তাহলে ফুলকপি কোন মাটিতে ভালো হয় সেইটা আপনার জানা অনেক জরুরি।

তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই ফুলকপি কোন মাটিতে ভালো হয়। শীতকালীন সবজি চাষ হিসেবে ফুলকপি চাষের জন্য এবং ফুলকপি চাষের জমি নির্বাচন করার জন্য আপনাকে সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি মাটির জমি নির্বাচন করতে হবে।

কারণ এই সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি মাটির জমিতে ফুলকপি অনেক ভালো হয়। এবং এর বীজতলা তৈরির জন্য আপনাকে প্রথমে অর্ধেক গোবর, সমুদয় টিএসপি ও অর্ধেক গ্রাম পটাশ সার জমি তৈরির সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
সমুদয় টিএসপি ও অর্ধেক গ্রাম পটাশ সার জমি তৈরির সময় মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। এবং অবশিষ্ট গোবর আপনাকে ফুলকপির চারা রোপন করার ৭ দিন পূর্বে মাটিতে/বীজতলায় মিশিয়ে রাখতে হবে। 

উক্ত সকল প্রক্রিয়া লক্ষ্য করে আপনি যদি ফুলকপি চাষের জন্য বীজতলা তৈরি ও ফুলকপি চাষের জন্য উপযুক্ত জমি নির্বাচন করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফুলকপির অনেক উচ্চ ফলন পাবেন এবং অনেক লাভবান হবেন।

শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি চাষ পদ্ধতি

শীতকালীন ফুলকপি চাষ করার জন্য অনেক পদ্ধতি অবলম্বনের মধ্যদিয়ে যেতে হয়। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আশা করছি একটি সম্পূর্ণ শীতকালীন ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে একটি গাইডলাইন পাবেন।

তাহলে চলু এখন জেনে নেওয়া যাক শীতকালীন ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। ফুলকপি চাষের প্রথম ধাপ হলো ফলকপি চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করা। যেইটা সম্পূর্ণ ভালোভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত বীজতলাতে চারা তৈরি করার জন্য।

ফুলকপি চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করণঃ প্রথমে আপনি বীজতলা তৈরির জন্য বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। এবং বীজতলার আকার দিন ১ ×৩ মিটার সমপরিমাণ। 

এরপর এই বীজতলায় ফুলকপি বীজ ছিটানো হয়ে গেলে প্রতি বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিক্সার করে দিন। এর পর যদি দেখেন আপনার ফুলকপির চারা ঠিকমতোন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

তাহলে প্রতি বীজতলার জন্য প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। এরপর আপনার চারা গজানোর প্রায় ১০ - ১২ দিন পরে অন্য বীজতলায় অথবা জমিতে স্থানান্তর করুন অথবা রোপন করুন।

ফুলকপি চাষের জন্য জমি তৈরিঃ ফুলকপি চাষের জন্য জমি তৈরির জন্য আপনাকে প্রথমে মূলজমি চাষ দিয়ে মাটি অনেক ঝুরঝুরা করে নিতে হবে। জমির মাটি যদি খুব উর্বর না হয় তাহলে আপনাকে গোবর সার, কম্পোস্ট, খৈল, ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে দিতে হবে।

এবং জমি চাষ দিয়ে তৈরির সময় এই সকল সার অর্ধেক পরিমাণ দিয়ে দিবেন। তাতে করে এই সকল উপাদান জমির সাথে মিশে গিয়ে জমির মাটির উর্বরতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি করবে।

ফুলকপি চারা রোপণঃ ফুলকপি চাষ করার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন ৩০ দিন বয়সের চারা রোপন করার জন্য। ফুলকপির চারা রোপন কালে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৪ ইঞ্চি হয় এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হয়।

আর চারা রোপনের সময় অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ফুলকপির চারার শেকড় মুচড়ে বা বেকে না যায়। আর রোপনের সময় আমাদের এই বিষয়ে সকলের খেয়াল রাখা উচিত যেন চারা রোপণ কালে প্রথম কিছুদিনে প্রখর রোদের কারণে চারা যাতে ঝিমিয়ে না পরে।

এই জন্য অবশ্যই কাগজ অথবা কলার পাতা দিয়ে ছায়া দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দিতে হবে।
ফুলকপি চাষের জন্য সার প্রয়োগঃ
সারের নাম শতকপ্রতিসার হেক্টর প্রতি সার
কম্পোস্ট ৬০-৮০ কেজি ১০ টন
ইউরিয়া ১-১.২ কেজি ২০০ কেজি
টিএসপি ০.৬-০.৮ কেজি ১৫০ কেজি
পটাশ ১০.৮-১ কেজি ১৫০ কেজি
জিপসাম ৪০০ গ্রাম ১০০ কেজি
দস্তা ৪০ গ্রাম ১০ কেজি

ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

শীতকালে কি কি সবজি চাষ হয়?
শীতকালে অনেক ধরণের সবজি চাষ হয়। যেমন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, গাজর, সুগার-বিট, লেটুস, আলু, মূলা, পালং শাক, মটরশুটি ইত্যাদি।

কোনটি বাংলাদেশের শীতকালীন ফসল?
বাংলাদেশের শীতকালীন ফসল বলতে বুঝানো হয়ে থাকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, শিম, ধনেশাক, পালংশাক ইত্যাদিকে।

বাংলাদেশের প্রধান সবজি কোনটি?
শসাকে বাংলাদেশের প্রধান ও জনপ্রিয় সবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাঙালির জাতীয় সবজি কি?
শুঁটি মরিচ বা লাল মরিচ এবং কুমড়োকে বাংলাদেশের জাতীয় সবজি হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

ফুলকপি আমাদের দেশে প্রায় সকল অঞ্চলেই চাষ হয়। এই সবজি শুধু শীত মৌসুমে চাষ করা হয়ে থাকলেও এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো শীতকালীন সবজি চাষ - ফুল কপি চাষ পদ্ধতি।

আজকের আর্টিকেলটি শীতকালীন সকল সবজি চাষ এবং ফুল কপি চাষ পদ্ধতি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আশা করছি আপনি শীতকালীন সকল সবজি চাষ এবং ফুল কপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদেরকেও শীতকালীন সকল ধরণের সবজি চাষ এবং ফুল কপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়ে উপকৃত করে দিন।

এর এই রকম তথ্যবহুর আর্টিকেল পড়ার জন্য প্রতিদিন নিয়োমিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url